নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অনুমোদিত মার্চেন্ট ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (পিবিআইএল) ইকুইটি এবং বন্ড মার্কেট উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তাবারক হোসেন ভূঁঞা, আইএমএন্ডএ।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বনানীতে পিবিআইএল-এর কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা তাদের চলমান কর্মতৎপরতা, সাফল্য ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
মিট দ্যা প্রেসে জানানো হয়, পিবিআইএল ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি। একটি পূর্ণাঙ্গ মার্চেন্ট ব্যাংক হিসাবে তার গ্রাহকদের বিভিন্ন পরিষেবা যেমন ইস্যু ম্যানেজমেন্ট, কর্পোরেট অ্যাডভাইজরি, আন্ডাররাইটিং, ট্রাষ্টি সেবা এবং পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট সেবা প্রদান করে আসছে। প্রথাগত সেবার পাশাপাশি পিবিআইএল বিভিন্ন কোম্পানির একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণে পরামর্শক এবং কোম্পানির মূলধন উত্তোলন ও অর্থায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
কর্মকর্তারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, করোনা মহামারিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থমকে দাঁড়ায়। আর্থিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিবিআইএল এই অভিঘাতের বাইরে ছিল না। কিন্তু সরকারের বিধিনিষেধ মেনে তারা তাদের কর্ম প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে এবং করোনাকালে প্রতিষ্ঠানটি ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু রেখে গ্রাহক পরিষেবা অব্যাহত রাখে। এরই ফলশ্রুতিতে মহামারী সময়ের মধ্যেও কোম্পানিটির এর সাফল্যের মুকুটে যোগ হয় নতুন পালক।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তাবারক হোসেন ভূঁঞা জানান, করোনার সময় তারা ব্যয় সংকোচনের জন্য কর্মী ছাঁটাইয়ের দিকে যায়নি। বরং কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করেছে। কোভিড ১৯- এর মধ্যে কোম্পানিটি ২১ কোটি টাকা প্রফিট করেছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিগত বছরে তারা ইস্যু-ম্যানেজার হিসেবে ইউনিয়ন বাংক লিমিটেডকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করেছে। ব্যাংকটি বাজার থেকে ৪২৮ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করেছে যা ব্যাংকিং সেক্টর কোম্পানিগুলোর মধ্যে বৃহত্তম ও দেশের পুঁজিবাজার ইতিহাসের চতুর্থ বৃহত্তম গ্রাথমিক গণপ্রস্তাব।
আরও বলা হয়, পাশাপাশি বিগত বছরে পিবিআইএল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি; আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক লি:সহ চারটি শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের পারপিচুয়াল বন্ডের ইস্যু ম্যানেজার এবং লিড এ্যারেজ্জার হিসেবে ২৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহ এবং বন্ডগুলোকে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন উপযোগী করতে সহায়তা করে। ইতিমধ্যে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক লিঃ ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডে ইস্যু ম্যানেজার এবং লিড এ্যারেঞ্জার হিসেবে ১৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে দিয়েছে। এছাড়াও পিবিআইএল বিভিন্ন বন্ডের ট্রাস্টি সেবা প্রদান করে আসছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বর্তমানে শরিয়াহ ভিত্তিক গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিঃ ও মেঘনা ইস্যুরেন্স লিঃ এর আইপিও ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে পিবিআইএল। কোম্পানিগুলো শিগগিরই নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাবে বলে প্রতিষ্ঠনটি আশাবাদী। এছাড়াও বেস্ট ইলেকট্রনিক্স, বেস্ট লাইফ ইলুরেন্সসহ আরও কিছু মানসম্মত কোম্পানিকে মূল বাজারে অন্তর্ভুক্তি এবং এসএমই প্ল্যাটফর্মের জন্য বাছাইকৃত কিছু কোম্পানিকে নিয়েও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
পিবিআইএল মার্চেন্ট ব্যাংক হিসেবে পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস প্রদান করে আসছে যা বিগত বছর গুলোতে প্রত্যাশিত রিটার্ন দিয়েছে এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক সেবা এবং আইনি কাঠামোয় থেকে ব্যবসা পরিচালনায় বিশ্বাসী। এই লক্ষ্যে তারা কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত উৎকর্ষের প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রতিনিয়ত দেশে এবং দেশের বাইরে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে বলে মিট দ্যা প্রেসে জানানো হয়।
কর্মকর্তারা বলেন, দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে তাল মিলিয়ে ইকুইটি এবং বন্ড মার্কেট এর উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং আশা করছি আগামী দিনগুলোতে আমাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
মিট দ্যা প্রেসে উপস্থিত ছিলেন, চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার রায়হান আলী এফসিএ, হেড অব প্রাইমারি মার্কেট অপারেশন নাবিলা রহমান, হেড অব রিসার্চ রাহাত-উল-আমিন এবং হেড অব ইস্যু ম্যানেজমেন্ট এইচ. এ. মামুন।