1. banijjobarta22@gmail.com : admin :

চার্টার্ড লাইফের ৫০ কোটি টাকার বীমা দাবি পরিশোধ

  • Last Update: Thursday, February 2, 2023

রাসেল মাহমুদ

দেশের চতুর্থ প্রজন্মের বীমা প্রতিষ্ঠান চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি। এ সময়ে কোম্পানিটি গ্রাহক, গ্রাহকের পরিবারকে বীমা দাবি হিসেবে ৫০ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করেছে।

কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠান পর থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃত্যু দাবি বাবদ ৫৫০ জন পলিসি গ্রাহকের পরিবারকে ১০ কোটিরও বেশি টাকা দিয়েছে কোম্পানিটি। স্বাস্থ্য বীমার ৩৫ হাজার দাবির বিপরীতে ৩০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সারভাইভাল বেনিফিট বাবদ দুই হাজার পলিসি গ্রাহককে ১০ কোটির বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০ হাজারের অধিক বীমা দাবির বিপরীতে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা প্রদান করেছে কোম্পানিটি।

চার্টার্ড লাইফের সিইও এস. এম. জিয়াউল হক

বীমা কোম্পানিটি বলছে, বীমা খাতের নানা নেতিবাচক প্রচারণার মধ্যেও গ্রাহকের ‘আস্থা আর বিশ্বাস’ অর্জনের মাধ্যমেই তারা ব্যবসা বিস্তৃত করছে। গত সাড়ে ৯ বছরে চার্টার্ড লাইফের ওপর মানুষের আস্থা দৃঢ় হয়েছে।

চার্টার্ড লাইফের অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ২২.৫০ কোটি টাকা।

গত ৯ বছরে কোম্পানিটির গ্রস প্রিমিয়াম দাঁড়িয়েছে ২১০ কোটি টাকা। এরমধ্যে দাবি পরিশোধে খরচ করেছে ৫০ কোটি টাকা। লাইফ ফান্ড ৫০ কোটি, অ্যাসেট ৫০ কোটি টাকা। বাকি ৬০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে।

প্রতিষ্ঠানটির এই সাফল্যের অগ্রভাগে থেকে ‘রাহবারের’ কাজ করে চলেছেন কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এস. এম. জিয়াউল হক, এফএলএমআই।

কোম্পানির একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বীমা নিয়ে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার সুদূর প্রসারী চিন্তা, স্বচ্ছ ধারনা, অভিজ্ঞতা আর দক্ষ নেতৃত্বের কারণে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

তবে সাফল্যের কৃতিত্ব একা নিতে নারাজ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এস. এম. জিয়াউল হক।

বাণিজ্য বার্তাকে তিনি বলেন, এই সাফল্যের পিছনে কোম্পানির প্রতিটি সদস্য সমান ভূমিকা রেখেছেন। সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল বলেই চার্টার্ড লাইফ সাড়ে ৩ লাখের বেশি গ্রাহকের পরিবারে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাকে যেদিন থেকে কোম্পানিটির নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে, সেদিন চারটি শপথ করেছি। প্রথমত উদ্যোক্তা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার শপথ। দ্বিতীয়ত আইন-অনুুশাসন মেনে কোম্পানি পরিচালনার শপথ। সবচেয়ে বড় কমিটমেট আমার গ্রাহকদের সঙ্গে। যেহেতু তারাই কোম্পানির প্রাণ, তাই আমি চেয়েছি সকল বীমা গ্রহীতার স্বার্থ সবচেয়ে আগে পূরণ করতে। এ জন্য আমাদের কোনো দাবি পেন্ডিং নেই। শুধু তাই নয়, আমাদের সঙ্গে সাড়ে ৩ হাজার কর্মী আছেন। তাদের সবার স্বার্থ রক্ষার শপথও আমি নিয়েছি।

তিনি বলেন, চারটি পক্ষকে দেয়া কমিটমেন্ট রেখে আমি যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারি তখনই ভাববো সফল হয়েছি। তার আগে নিজেকে সফল ভাবছি না। মূল্যায়নের দায়িত্ব আপনাদের।

চার্টার্ড লাইফ ২০২২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। তালিকাভুক্তির পর থেকেই গ্রাহকদের আস্থার জায়গায় চলে এসেছে। যার ফলে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারটি এখন ৬৬ টাকা ৮০ পয়সায় (১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে ৬০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার।

Banijjobarta© Copyright 2022-2023, All Rights Reserved
Site Customized By NewsTech.Com