নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিআইসি) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের বীমা শিল্পের অন্যতম পথিকৃত, বিশিষ্ট বীমা ব্যক্তিত্ব এম এ সামাদের শততম জন্মদিন পালন করেছে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শুভাকাঙ্ক্ষিরা।
রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি অভিযাত ক্লাবে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়।
স্মরণ সভায় এম এ সামাদের আদর্শ ও বীমা শিল্পে অবদানের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিআইসির চেয়ারম্যান তৌহিদ সামাদ, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম ভূইয়া, পরিচালক শাকিল রিজভী, ডেপুটি ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোফাজ্জল হোসেন, ব্যাংক বীমা অর্থনীতির সম্পাদক মনিরুজ্জামানসহ বিজিআইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিজিআইসির চেয়ারম্যান তৌহিদ সামাদ বলেন, বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী এম এ সামাদ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জীবন বীমা করপোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৮৫ সালে বেসরকারি খাতের প্রথম নন-লাইফ বীমা কোম্পানি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যক্তি হিসেবে তিনি খুবই আন্তরিক ছিলেন।
তিনি বলেন, উনি সব সময় মানুষদের পাশে থাকতেন ও তাদের সহযোগিতা করতেন। আজ বীমার যেই অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে তার অবদান অপরিসীম। আজ উনার একশতম জন্মদিন আমরা পালন করছি। তাই বিজিআইসির পরিবারবর্গ নিয়েই আমাদের আজকের এই আয়োজন।
এম.এ সামাদ একাধারে ভাষাসৈনিক, দেশের সেরা বীমা ব্যক্তিত্ব, লেখক ও সংগঠক। তিনি ১৯২৩ সালে সিলেট অঞ্চলের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। ২০০৫ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি মারা যান। তিনি উপমহাদেশের সবচাইতে অভিজাত বিদ্যাপীঠ কোলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ১৯৪৫ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে বি.এ. অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিসাসে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে স্বর্ণপদকসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর তিনি ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ নয়াদিল্লীতে সংবাদপাঠ ও অনুবাদকের কাজ করেন।
বীমার উপর অনেক বই লিখেছেন তিনি। বইগুলো তার জন্য বয়ে এনেছে অনেক আন্তর্জাতিক সম্মান। ইউনাইটেড নেশনস-এর আস্কটামের বীমা অভিজ্ঞদের নামের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে তিনি এ পেশায় সম্মানিত হয়েছেন।
দেশের একমাত্র বীমা শিক্ষার ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর তিনি।