1. banijjobarta22@gmail.com : admin :

মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের খেলাপি ঋণ ৫০ শতাংশ, দাবি সাবেক কর্মকর্তার

  • Last Update: Wednesday, September 28, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের খেলাপি ঋণ প্রায় ৫০ শতাংশ বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা শামীম আহমেদ।

তার দাবি, সাতটি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪২ থেকে ৯৬ শতাংশ। এর মধ্যে মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের খেলাপি প্রায় ৫০ শতাংশ।

যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুন শেষে প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। কিন্তু এ তথ্য তিনি অস্বচ্ছ বলে দাবি করেন।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি করেন।

দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তার মধ্যে অন্যতম অন্যতম মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড। নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে এ প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রক্রিয়ায় হাজার হাজার আমানতকারী ও বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘ ১৫ বছর চাকরিকালে আমি এসব অনিয়মের সাক্ষী ছিলাম। এ বিষয়ে দুদকে একাধিক অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বারবার নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করেও চাকরি ফেরত পাইনি।

তিনি আরও বলেন, এসব অনিয়ম দুনীর্তির তথ্য প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডার, বিনিয়োগকারী ও আমানতকারীদের জানানো নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে হয়েছে। এসব অপকর্মে জড়িতদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। তাই বিষয়টি জনসম্মুখে আনতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল আযম ও পর্ষদ সদস্য সামছুল আলমের বিরুদ্ধে নিজ নামে ঋণ অনুমোদন, জাল-জালিয়াতি, দুর্নীতির প্রমাণ নষ্ট করতে ঘুষ প্রদান, নারী কেলেঙ্কারি, বেতন-ভাতা ম্যানিপুলেশন, মাদক কারবার ও কোম্পানির গাড়ি-বাড়ি দখলসহ বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন। এছাড়া বর্তমান কোম্পানির সচিব তানভীর হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা কূটকৌশলের অভিযোগ আনেন শামীম আহমেদ।

অভিযোগের বিষষটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া বলে জানিয়েছেন মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুস্তাফিজুর রহমান।

বাণিজ্য বার্তাকে তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে তিনি যেসব অভিযোগ করেছেন তা মনগড়া। এর স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই। বলা যায় ফাঁকা বুলি। শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় তাকে টার্মিনেট করা হয়েছে। যা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্তে বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়েছে। চাকরি হারানোর পর থেকে তিনি একের পর এক ভিত্তিহীন অভিযোগ করে যাচ্ছেন। এটা তার বিকৃতরুচির পরিচায়ক।

আশির দশকে এনজিও হিসেবে কাজ শুরু করে মাইডাস। এরপর ১৯৯৫ সালে মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড নামে যাত্রা শুরু করে। ২০০০ সাল থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচলনা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

মাইডাস ফাইন্যান্সিং ২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে।

গত ৩১ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির মোট শেয়ারের ৪১ দশমিক ৩৫ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক ৬২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩১ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের শেয়ার ১৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

Banijjobarta© Copyright 2020-2022, All Rights Reserved
Site Customized By NewsTech.Com