নিজস্ব প্রতিবেদক
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬৪ পয়েন্ট। এর আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও পতনে লেনদেন শেষ হয়। ওইদিন প্রধান সূচক কমেছিলো ৫২ পয়েন্ট।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশনার ফলে শেয়ারবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সংকুচিত হবে।
তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি ছিল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এক্সপোজার বা বিনিয়োগ বাজারমূল্যের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যে গণনা করা। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনাতেও বিনিয়োগ বাজারমূল্যে গণনার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্ডের মতো ডেভ সিকিউরিটিজ, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ডকে বিনিয়োগ গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। ফলে পরপর দুদিন বাজারে বড় পতন হয়েছে।
রোববার সূচকের ব্যাপক পতন হলেও টাকার অংকে লেনদেন পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। ডিএসইর মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রোববার ডিএসইতে ১ হাজার ১৪০ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে আগের দিন থেকে ১৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকার।
ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৯২৬ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ২৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক দশমিক ৯ পয়েন্ট কমেছে ।
এদিন মোট ৩৮০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৭টির, দর কমেছে ২৭০টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টি কোম্পানির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসপিআই ২৩২ পয়েন্ট কমেছে। সিএসইতে আজ ৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।