1. banijjobarta22@gmail.com : admin :

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে লাগবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি

  • Last Update: Monday, August 29, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক

নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে হলে এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

সোমবার (২৯ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ। যা সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, পরিচালক নির্বাচন বা মনোনয়নের পর নিযুক্তি বা পদায়ন বা পুনঃনিযুক্তি বা পুনঃপদায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এ রূপে নিযুক্ত, পুনঃনিযুক্ত বা পদায়নকৃত পরিচালককে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া পদ থেকে অব্যাহতি, বরখাস্ত বা অপসারণ করা যাবে না।

আরও বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিধান অনুযায়ী ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করতে হবে। অন্যূন ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পরিচালকের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হবে না।

সার্কুলারে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকা অবস্থায় তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি যার কোনো পৃথক সত্তা নেই তার পক্ষে আর কোনো পরিচালক ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদে নিযুক্ত হতে পারবেন না। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বহিঃহিসাব নিরীক্ষক, আইন উপদেষ্টা, উপদেষ্টা, পরামর্শক, বেতনভুক্ত কর্মচারী বা অন্য কোনো পদের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন কিংবা বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে নিয়োজিত ছিলেন এরূপ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদে নিযুক্ত হতে পারবেন না।

বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদের মেয়াদ হবে অনধিক তিন বছর এবং কোনো পরিচালক একাদিক্রমে তিন মেয়াদের বেশি ওই পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। তবে একাদিক্রমে তিন মেয়াদে পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর পর তিনি পরিচালক পদে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন।

সার্কুলারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে নিযুক্তির অযোগ্যতা হিসেবে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

অযোগ্যতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মনোনীত ব্যক্তি বা মনোনয়ন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হওয়া কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে দেওয়ানি বা ফৌজদারি আদালতের রায়ে কোনো বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য থাকা; মনোনীত ব্যক্তি বা মনোনয়ন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকারের কোনো সংস্থা কর্তৃক সম্পাদিত তদন্ত বা পরিদর্শন প্রতিবেদনে জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো পর্যবেক্ষণ থাকা; মনোনীত ব্যক্তি বা মনোনয়ন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যদি আর্থিক খাত-সংশ্লিষ্ট কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধিমালা, প্রবিধান বা নিয়মাচার লঙ্ঘনজনিত দণ্ডে দণ্ডিত হন।

তবে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ হাইকোর্ট কর্তৃক পুনঃগঠিত হওয়ায় উপরোক্ত বিধান তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

Banijjobarta© Copyright 2022-2023, All Rights Reserved
Site Customized By NewsTech.Com